মৃণাল বন্দ্য, কানাডা থেকে : আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।’ প্রবাসের জীবনে বেতারে ভোরবেলায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের দরাজ কণ্ঠে চন্ডীপাঠ শোনা যায় না। তবে সেই অভাব অনেকটাই পূরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা ইউটিউব। আকাশবাণীর সেই কিংবদন্তি চণ্ডীপাঠ থেকে শুরু করে মহিষাসুরমর্দ্দিনীর গান বেজে ওঠে। এভাবেই সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়েও দেবী দুর্গা তার আগমনী বার্তা নিয়ে হাজির হয়।
বরাবরের মতো এবারো কানাডার টরেন্টোর হিন্দুরা জাকজমকভাবে পালন করেছে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। মহালয়ার দিন হয়েছে চণ্ডীপাঠ, দশমীর দিন সিঁদুর খেলা আর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের উৎসব। প্রতিদিনই ছিলো স্থানীয় শিল্পী এবং বাংলাদেশ-ভারত থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রসাদ বিতরণ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপূজা বাঙালির সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙ্গালি হিন্দুরা বছরের পুরোটা সময় অপেক্ষা করে থাকে এই সময়টার জন্য। ঢাক আর কাঁসার তালে দুর্গা মায়ের আনন্দধ্বনি ছড়িয়ে পরে লোকালয়ে। বুঝতে পারি আনন্দের বার্তা নিয়ে দেবী দুর্গা আমাদের মধ্যে আরও একবার এসেছেন।
২৪ঘণ্টা/আসো