বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১
Proval Logo

মেহেরপুরে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত - ০২ জানুয়ারি, ২০২৫   ০৯:৫৫ পিএম
webnews24

২৪ ঘন্টা অনলাইন : মেহেরপুরের গাংনীতে ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আলমগীর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আলমগীর দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া ছিলেন, তিনমাস হলো সে বাড়িতে এসেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া-কামারখালি সড়কের রাইমনতলা ইছাখালির মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি ও বাঁশবাড়িয়া উত্তারপাড়ার মঈন উদ্দীনের ছেলে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল জানান, সহড়াবাড়িয়া-কামারখালি সড়কের রাইমনতলা মাঠে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। আশা করছি, হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

গাংনী পৌর যুবদলের আহবায়ক সাহিদুল ইসলাম বলেন, গভীর রাত হলেও আলমগীর হোসেন বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার যুবদল নেতৃবৃন্দসহ আত্মীয় স্বজন বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজ করে। কিন্তু কোনো খোঁজ পায়নি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাইমতলা ইছাখালির মাঠে সহড়াবাড়িয়া গ্রামের জনৈক্য কামরুল ইসলামের তামাকের জমিতে একব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত আলমগীর হোসেনের স্বজনরা জানিয়েছেন, আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া ছিলেন, তিনমাস হলো সে বাড়িতে এসেছে। তার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।  

নিহতের ছোট ভাই আল আমিন জানিয়েছেন, ভাই আলমগীর হোসেন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে তাকে অপহরণ করার পর হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে যুবদল নেতার মরদেহ পড়ে থাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মিল্টন, ষোলটাকা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি সহ বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মিল্টন এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
২৪ঘন্টা/এআর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন