পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ২৪ঘণ্টা অনলাইন : দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরের হিমশীতল বাতাসে ঘন কুয়াশা আর মেঘের কারণে সূর্য উত্তাপ ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের অবস্থা শীতে জবুথবু। তাপমাত্রা না কমলেও শীতের তীব্রতা বাড়ছেই। বিকাল থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সাথে মৃদু বাতাস বইছে। গত সাত দিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও কুয়াশায় ঢাকা ছিল সমগ্র এলাকা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতে তীব্রতাও বাড়ছে।
১১ ডিসেম্বর বুধবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়েছিল চারদিক। তবে শীত উপেক্ষা করে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে যেতে দেখা গেছে। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে । সাধারণ খেটে খাওয়া তৃণমূল ও দরিদ্র মানুষ শীতের দুর্ভোগে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাব তাদের এই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। চা শ্রমিক পাথর শ্রমিক দিনমজুর ছিন্নমূলসহ জেলার প্রায় লাখো শ্রমিক সকাল থেকে জীবিকার তাগিদে কাজে বের হয়। এদিকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার শীতার্ত দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী শীতবস্ত্র বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল । আজ বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। তিনি জানান, আকাশে মেঘ থাকায় এবং কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ভুপৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পারায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
২৪ঘণ্টা/শাহ