বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
Proval Logo

ভাঙা যাচ্ছে না ডিমের সিন্ডিকেট

প্রকাশিত - ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪   ০৯:৪৫ পিএম
webnews24

২৪ঘণ্টা অনলাইন : বাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ডিমের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, সরকার ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় বেশি দামে কিনে মাশুল গুনতে হচ্ছে তাদের। আর বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) দাবি, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণায়ের মিটিংয়ে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে যে গুরুত্ব দেয়া হয়, প্রান্তিক খামারিদের তেমন দেয়া হয় না। গতকাল শুক্রবার যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শান্তিনগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বাজারে ডিমের অস্বাভাবিক দামের লাগাম টানতে গতবছর আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। পাশাপাশি বেঁধে দেয়া হয়েছিল প্রতি পিস ডিমের দাম। এতে নিয়ন্ত্রণে আসে বাজার।

তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই আবারও দফায় দফায় ওঠানামা করছে ডিমের দাম। বর্তমানে বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকা। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার সঠিক কারণ বিক্রেতারা না জানলেও তাদের দাবি, মোকামেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। এদিকে, বন্যায় খামার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মুরগি দাম বাড়তে শুরু করেছে বলে বিক্রেতারা দাবি করলেও তা মানতে নারাজ ক্রেতারা। তাদের দাবি, সরকার ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় বেশি দামে কিনে মাশুল গুনতে হচ্ছে তাদের। ফারদিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট কাজ করছে। তারা অদৃশ্যভাবে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। এদের ধরতে না পারলে ডিমের বাজারে স্বস্তি ফিরবে না।

ডিমের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বিপিএ। সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যায় অনেক খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ডিমের উৎপাদন কম রয়েছে প্রায় ২০ লাখ পিসের মতো। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডিমের দাম কিছুটা বাড়তি এখন। পাশাপাশি সিন্ডিকেটের কারসাজি তো রয়েছেই। বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের পর কেন ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যেখানেই মিটিং হোক না কেন, সেখানে বড় করপোরেট কোম্পানিগুলোকে ডাকা হয়। প্রান্তিক খামারিদের ডাকা হয় না। অথচ করপোরেট কোম্পানিগুলো দেশের মোট চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদন করে। ডিমের দাম কমাতে সরকারকে প্রান্তিক খামারিদের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। তিনি আরও বলেন, সবাই মুরগির দাম, ডিমের দাম কমাতে চায়; কিন্তু উৎপাদন খরচ কেউ কমাতে চায় না। যার মাশুল গুনতে হয় ভোক্তাকে। তাই সিন্ডিকেট ভাঙতে শুধু বাজার মনিটরিং না করে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। কারণ খরচ কমলে উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হবেন খামারিরা। এতে বাজারে সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে।

এদিকে, ডিমের পাশাপাশি বাজারে মুরগির দামও চড়া। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

২৪ঘণ্টা/আসো


 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন