বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
Proval Logo

দুদকের তথ্য চাওয়ায় ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ

প্রকাশিত - ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪   ০৮:৪৯ পিএম
webnews24

২৪ঘণ্টা অনলাইন : মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০টি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখানে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ আছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয়। তবে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলব না যতক্ষণ প্রতিটা কেইস আমি ডিটেইলস দেখবো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে কিছু কনফিউশান থাকতে পারে, সেগুলো আমরা দূর করবো। অডিট অবজেকশন এবং দুর্নীতি এক জিনিস না। একটি ছোট উদাহরণ দেই। আমি কলকাতা মিশনে দায়িত্ব পালনের সময়ে একটি গাড়ি কেনা হবে। গাড়িটা বেশ বড় কিন্তু এরচেয়ে অনেক ছোট গাড়ি দিল্লিতে যে দামে কেনা হয়েছিল, তার থেকে কম দামে কেনা গেছে। অ্যাডভান্স দেওয়া হয়েছে এজেন্টকে, কিন্তু এজেন্ট বাংলায় মানে হচ্ছে দালাল। কিন্তু আসলে গাড়ির কোম্পানির এজেন্ট ওরা। যেমন নাভানা হচ্ছে টয়োটা গাড়ির এজেন্ট। অভিযোগ এসেছে গাড়ির দাম ১০ লাখ টাকার মধ্যে দালালকে যে চার লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে সেটা আদায়যোগ্য অবজেকশনটা আমার বিরুদ্ধে। এটা আমি কেন দিলাম, আমার কাছ থেকে নাকি এ টাকা আদায়যোগ্য হবে। মিশন অডিটের ডিজিকে বললাম আপনি জাপান থেকে একটি টয়োটা গাড়ি এনে দেন নাভানার সাহায্য ছাড়া। এটি করতে পারলে আপনাকে আমি চার লাখ টাকা ফেরত দেবো। আমি বললাম, গাড়ি কিনতে হলে বুকিং দিতে হয়, সেজন্য আগাম কিছু টাকা দিতে হয়। অডিট অবজেকশন অনেকসময় এরকম হয়। সেগুলোকে দুর্নীতি হিসাবে দেখা হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। কারণ অভিযোগের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেকগুলো অডিট অবজেকশনের ফলাফল। অডিট অবজেকশন আর দুর্নীতি এক জিনিস না। আমরা বিষয়টি দেখবো’

২৪ঘণ্টা/আসো

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন